1. multicare.net@gmail.com : আদালত বার্তা :
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বই পড়া এবং বই না পড়া মানুষের মধ্যে পার্থক্য মানুষের প্রতি আল্লাহর অসন্তুষ্টির ৫ কারণ একা ভ্রমণে ১০ ভুল এড়িয়ে চলুন ছাত্র-তরুণের নেতৃত্বে আসছে নতুন রাজনৈতিক দল, নাম ও প্রতীক প্রস্তাবের আমন্ত্রণ জীবনে কখনো কাউকে পরোয়া করো না, নিজের যোগ্যতায় নিজে এগিয়ে যাও। বদলে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা দুই সংজ্ঞা থেকেই বাদ যাচ্ছে শেখ মুজিবের নাম। সরাসরি যুদ্ধে অংশ না নিলে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি থাকবে না। পরোক্ষভাবে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁরা পাবেন সহযোগীর স্বীকৃতি। টাইম ম্যানেজমেন্ট অতি জরুরি বই মেলায়  আগত দর্শনার্থীদের একমাত্র ভরসা মেট্রোরেল আজও টিকে আছে পরিবারের যেসব ধরন ভিসা পরিষেবায় নতুন পদ্ধতি চালু করছে মার্কিন দূতাবাস

ভূমিকম্পের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে ঢাকা।

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩
  • ১১৩ বার পড়া হয়েছে

ভূমিকম্পের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে ঢাকা।

ডেস্ক নিউজ আদালত বার্তা :১৫ মার্চ  ২০২৩।

ভূমিকম্পের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে ঢাকা। টাঙ্গাইলের মধুপুরে মাটির নিচে যে চ্যুতিরেখা বা ফল্টলাইন রয়েছে, সেখানে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকায় ৮ লাখ ৬৫ হাজার ভবন ধসে পড়বে। দিনের বেলায় এ ভূমিকম্প হলে মারা যাবেন ২ লাখ ১০ হাজার মানুষ, আহত হবেন ২ লাখ ২৯ হাজার।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) এক সমীক্ষায় এই ঝুঁকির বিষয়টি উঠে এসেছে। সংস্থাটি বলছে, মধুপুর চ্যুতিরেখায় ওই মাত্রার ভূমিকম্পে আর্থিক ক্ষতি হবে ২৫ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকার সমান। ভূমিকম্পের পর ভবন মেরামত ও পুনর্নির্মাণে সরকারকে ব্যয় করতে হবে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার (৪ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা)।
রাজউক এ সমীক্ষা করেছে আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের রাজউক অংশের আওতায়। এ প্রকল্পের ব্যয় ৫৩৬ কোটি টাকা। এতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
আজ বুধবার (১৫ মার্চ) সচিবালয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সভায় সমীক্ষা প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হবে। সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও দুর্যোগবিশেষজ্ঞরা উপস্থিত থাকবেন।
জানতে চাইলে প্রকল্পটির পরিচালক আবদুল লতিফ হেলালী বলেন, ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে বড় আকারে এ ধরনের সমীক্ষা এবারই প্রথম করা হয়েছে। ২০১৮ থেকে ২০২২—এই চার বছর ধরে সমীক্ষাটি করা হয়।
রাজউকের কর্মকর্তারা বলছেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। বাংলাদেশের অবস্থান দুটি বিপজ্জনক চ্যুতিরেখার ওপরে। একটি ঢাকা মহানগরের সবচেয়ে কাছে টাঙ্গাইলের মধুপুর চ্যুতিরেখা, অন্যটি সিলেট অঞ্চলের ডাউকি চ্যুতিরেখা। ঢাকা মহানগরের ১ হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা আওতায় নিয়ে সমীক্ষাটি করা হয়।
সমীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সিলেটের ডাউকি চ্যুতিরেখায় ৭ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হলে ঢাকার কমপক্ষে ৪০ হাজার ৯৩৫টি ভবন ধসে পড়বে। দিনের বেলায় ভূমিকম্পটি হলে ১৬ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটবে। আহত হবেন ২৮ হাজার মানুষ। এই মাত্রার ভূমিকম্পে আর্থিক ক্ষতি হবে ৫ বিলিয়ন ডলার, যা সাড়ে ৫২ হাজার কোটি টাকার সমান। ভূমিকম্পের পর ভবন মেরামত ও পুনর্নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার (সাড়ে ৭৩ হাজার কোটি টাকা)।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনে ভূমিকম্প হলে মানুষের মৃত্যু বেশি হবে। কারণ, এই সময় বাণিজ্যিক ভবন ও কারখানায় মানুষ বেশি থাকেন। আর ঢাকায় ভবনগুলোর ধসে পড়ার ঝুঁকির কারণ, অনেক ভবন জলাভূমি ভরাট করে নরম মাটিতে তৈরি করা হয়েছে। আবার নির্মাণের ক্ষেত্রেও ভূমিকম্পসহনীয় করা হয়নি। অনেক ভবনই অবৈধভাবে নির্মিত।
তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। স্থানীয় সময় ভোর সোয়া চারটায় ওই ভূমিকম্পে প্রাণহানি ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপির তথ্যমতে, ওই ভূমিকম্পে ২ লাখ ২০ হাজার ভবন ধসে পড়ে। আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয় ১০০ বিলিয়ন (১০ লাখ কোটি টাকার বেশি) ডলারের বেশি। সূত্র: প্রথম আলো

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট