শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে কর্মীদের প্রতি জামায়াতের ৬ নির্দেশনা
নিউজ ডেস্ক আদালত বার্তা :৯জুন ২০২৩।
শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে কর্মীদের প্রতি জামায়াতের ৬ নির্দেশনা
১০ জুন শনিবার বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে সমাবেশ বাস্তবায়নে বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের সাথে দফায় দফায় সমন্বয় সভা করছে জামায়াতে ইসলামী। সমাবেশ উপলক্ষে জামায়াতের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের ছয়টি কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনা না মানলে সাংগঠনিক শাস্তিও দেবে দলটি।
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- ক. সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ এবং উৎসব মুখর। খ. সমাবেশে আসা যাওয়ার পথে কারো কোন উস্কানিতে পা দেয়া যাবেনা। সকলপ্রকার উস্কানি এড়িয়ে যেতে হবে। গ. সকল প্রকার অপতৎপরতার ব্যাপারে চোখ কান খোলা রেখে সতর্ক থাকতে হবে। ঘ. কোন অপতৎপরতা চোখে পড়লে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলকে তাৎক্ষনিক জানাতে হবে। ঙ. নিজেরা কোন অপতৎপরতা প্রতিহত করতে যাবে না। চ. সমাবেশে শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরীর জনশক্তিরাই উপস্থিত থাকবে।
গতকাল ঢাকা মহানগর উত্তর এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর যৌথ সমন্বয় সভায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, দেশের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা জাতির সামনে জনগণের কথা গুলো তুলে ধরতে চাই। এটা আমাদের সংবিধানিক অধিকার। জামায়াতে ইসলামী তার ঐতিহ্যগতভাবে সমাবেশ শান্তিপূর্ণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য পুলিশ কার্যালয়ে প্রতিনিধি দল প্রেরণ করে আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ সফল করার জন্য সহযোগিতার আবেদন করেছি। প্রত্যাশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার সিদ্ধান্ত আমাদেরকে অবহিত করবে। যেন আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ সফল করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারি।
এদিকে শনিবার জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, সাহিত্যিক এবং সাংবাদিকসহ ১৩০ জন পেশাজীজী নেতৃবৃন্দ।
ডিএমপির একটি সূত্র জানায়, সমাবেশে সহযোগিতায় জামায়াতের আবেদন এখনো পর্যালোচনা করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কথা বলে মতামত নিয়েছেন ডিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিশৃঙ্খলার শঙ্কায় অনুমতি না দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন অনেকে। এমনকি ডিএমপি’র মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও সমাবেশের পক্ষে মত দিচ্ছেন না। তবে এখনও অনুমতি দেয়া বা না দেয়া নিয়ে ডিএমপি’র পক্ষ থেকে খোলাসা করে কিছু বলা হয়নি।
এদিকে শনিবার জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ ঘিরে ধরপাকড় শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বনানী থানা জামায়াতের আমীর তাজুল ইসলাম ও সেক্রেটারি মাওলানা রাফিসহ ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান দাবি, গোপন বৈঠকের সময় নবাবী রেস্তোরা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে জামায়াতে ইসলামী মহানগর উত্তরের প্রচার সম্পাদক মু.আতাউর রহমান সরকার বলেন, বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান অসত্য কথা বলেছেন। তাদের রেস্তোরা থেকে নয়, রাত ৯টার দিকে মহাখালী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, ওয়্যারলেস গেট থেকে সালাতুল এশার নামাজ পড়ে বাসায় ফেরার পথে আটক করে নিয়ে যায়। বিনা ওয়ারেন্টে নামাজীদের আটকের ঘটনাটি দু:খজনক। সরকারের সাথে ভালো সাজতে তিনি অতি উৎসাহি হয়ে গ্রেফতারে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তিনি বলেন, যখনই জামায়াত-শিবিরের কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয় তখনই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নানা নাটকের অবতারণা করেন। তারা ধরবে একজায়গা থেকে। বলবে অন্য জায়গার কথা। কোরআন-হাদীস ও ইসলামী সাহিত্যকে বানাবে জঙ্গি বই।