1. multicare.net@gmail.com : আদালত বার্তা :
রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ০৯:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশের মেঘনা নদীর ইলিশে পাওয়া গেছে মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা। পুরাতন দলিলে ব্যবহৃত ১০০টি শব্দের অর্থ জেনে নিন  জানেন কি পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের প্রথম ৬০ সেকেন্ডের কি ঘটতে পারে?  এইচএসসিতে আসন বিন্যাসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়ছে দূরত্ব বাবা নিজের পছন্দ বিসর্জন দেন সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য।বাবার এই ভালোবাসাকে শ্রদ্ধা জানানোই সন্তানের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। দেশে তিন শ্রেণির ব্যক্তির পাসপোর্ট নবায়ন ও নতুন পাসপোর্ট ইস্যু না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটি মামলা বাতিল করার নিয়ম কী? পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দেশটির নাম সিল্যান্ড। মা শব্দটির মধ্যে লুকিয়ে আছে সমস্ত পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর সম্বোধন। কক্সবাজার হতে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত  সমুদ্রের তীর ঘেঁষে ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণ করা হয় — তাহলে কেমন হবে?

সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাট।

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫
  • ৪৯ বার পড়া হয়েছে

সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাট।

এডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক আদালত বার্তাঃ১৩ মার্চ ২০২৫

জামালপুর: দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাট ছিল অন্যতম। দেশের উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার মানুষের রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগের একমাত্র সহজ রাস্তা ছিল এটি। যমুনা নদীর বাম তীর ঘেঁষে জামালপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল বাহাদুরাবাদ ঘাট, অপর প্রান্ত নদীর ডান তীরে ছিল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি ঘাট।

গাইবান্ধার প্রান্তে ঘাটের স্থান পরিবর্তন হয়েছিল বেশ কয়েকবার নদীর নাব্যতার কারণে। কিন্তু বাহাদুরাবাদ ঘাটে এ সমস্যা ছিল না। নাব্যতার সংকট দেখা দিলে পন্টুন সরিয়ে কার্যক্রম ঠিক রাখা যেত ঘাটের। এতে করে রেললাইনের কোন পরিবর্তন করা লাগতো না। অপরপ্রান্তের গাইবান্ধার ভরতখালি কঞ্চিপাড়া রেলওয়ে স্টেশন হারিয়ে গেলেও রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ স্টেশনটি এখনো ঐতিহ্য বহন করছে কালের সাক্ষী হয়ে।

বাদুরাবাদ ঘাটকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল ব্যবসা-বাণিজ্য,কর্মসংস্থান হয়েছিল কয়েক হাজার মানুষের, রেলওয়ের স্টীমার ঘাটসহ রেললাইনের দুই পাশে দিয়ে ছিল দোকানপাট। ভাতের হোটেল থেকে শুরু করে, ফলমূলের দোকান, কনফেকশনারী, কী ছিল না বাহাদুরাবাদ ঘাটে? তখনকার ভাতের হোটেলগুলি বেশ সমাদৃত ছিল।

আন্তঃনগর ট্রেনের মধ্যে তিস্তা আর একতার যা বর্তমান ব্রহ্মপুত্র নামে চলে এই রুটে, ফেরী সংযোগ ছিল এই দুটি ট্রেনের জন্য, ট্রেন দুটি প্রথমের দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে এসে, যাত্রা বিরতিহীন ভাবে এসে থামতো বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাটে, সে কারণেই হয়তো দেশের উত্তরে জেলার মানুষের মাঝে জনপ্রিয় ছিলো এই রাস্তাটি।

১৯৯৮ সালে যমুনায় বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হলে কালক্রমে এই রুটের চাহিদা কমতে শুরু করে উত্তরাঞ্চলের মানুষের কাছে। ট্রেন থেকে ফেরি, ফেরি থেকে ট্রেন এভাবে পরিবর্তন করে গন্তব্যে যাওয়ার চেয়ে সেতু রোডে সরাসরি গন্তব্যে যাওয়া স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে উত্তর অঞ্চলের মানুষ। এর প্রভাব পড়তে শুরু করে বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাটে। ২০০৩ সালে সেতুর উপর দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হলে কালপরিক্রমায় যাত্রী ফেরী সার্ভিস পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় বাহাদুরাবাদ ঘাটে। এরপর আস্তে আস্তে ভাঙতে থাকে যমুনার বাম তীর, একসময় নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায় ঐতিহ্যবাহী বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাট। বেকার হয়ে পড়ে ফেরিঘাটে সকল প্রকার ব্যবসায়ী সহ শ্রমিকেরা, আজও তারা খুঁজে ফেরে সেই ঐতিহ্যবাহী বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাট।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট