1. multicare.net@gmail.com : আদালত বার্তা :
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
জাতীয় প‍্যারেড স্কয়ারে এবার কুচকাওয়াজ হচ্ছে না: সারা দেশে বিজয় মেলা হবে। হাইকোর্টে শমী কায়সারের জামিন  বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ রাখলে ভারত দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে পারবে না ভিজিট ভিসায় আমেরিকা গিয়ে যেভাবে সেটেল হবেন !! ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ প্রধান উপদেষ্টার সাথে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সাক্ষাৎ ‘সম্পর্কে মেঘ এসেছে, এটি দূর করতে হবে’ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য সুসংবাদ বিদেশেও সচল থাকবে গ্রামীণফোনের সিম আজকে যিনি আমলা, কাল সে রাজনীতিবিদ, পরের দিন ব্যবসায়ী’ যাদের ১৮ পূর্ণ হয়েছে তাদের ভোটার হওয়ার আহ্বান- ইসি

১০ মার্চ ১৯৭১। এ দিন সকালে বঙ্গবন্ধু তার বাসভবনে বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ মার্চ, ২০২৩
  • ৪৭৯ বার পড়া হয়েছে
  1. ১০ মার্চ ১৯৭১। এ দিন সকালে বঙ্গবন্ধু তার বাসভবনে বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন
  2. ডেস্ক নিউজ আদালত বার্তা:১০ মার্চ ২০২৩।
  3. ১০ মার্চ ১৯৭১। এ দিন সকালে বঙ্গবন্ধু তার বাসভবনে বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে পাকিস্তানের জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে মুক্তিকামী বাঙালি জাতির অবস্থান পরিষ্কার করেন বঙ্গবন্ধু।

বিকেলে ওয়ালী ন্যাপের উদ্যোগে শোষণমুক্ত স্বাধীন বাংলার দাবিতে ঢাকা নিউ মার্কেট এলাকায় পথসভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ। ‘লেখক-শিল্পী মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’-এর ব্যানারে লেখক ও শিল্পীরা ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এদিকে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর বাঙালির আত্মবিশ্বাস ছিল তুঙ্গে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে চলছিল পূর্ব পাকিস্তান। ঘরে ঘরে উড়ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত নতুন পতাকা। অসহযোগ আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছিলেন, তাদের স্মরণে পালন কর হচ্ছিল শোক। সরকারি ও বেসরকারি ভবন, ব্যবসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তোলা হয়েছিল কালো পতাকা। এমনকি প্রধান বিচারপতির বাসভবন এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইনসেও এদিন কালো পতাকা উড়ানো হয়।

পূর্ব পাকিস্তানের সরকারি ও আধাসরকারি অফিসের কর্মচারীরা কাজে যোগদান থেকে বিরত থাকেন। জরুরি কাজের বিবেচনায় বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও ব্যবসা কেন্দ্র খোলা রাখা হয়। নিউইয়র্কে প্রবাসী বাঙালি ছাত্ররা জাতিসংঘ সদরদফতরের সামনে বিক্ষোভ করেন। তারা নিরস্ত্র বাঙালিদের হত্যা বন্ধে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি করে মহাসচিব উ-থান্টের কাছে স্মারকলিপি দেন।

বঙ্গবন্ধু এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পাকিস্তানি শাসকেরা চক্র প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোবৃত্তি নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। সামরিক সজ্জা অব্যাহত রেখে বাংলার বুকে এক জরুরি অবস্থা কায়েম রাখার রেখেছে।’

স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এক বিবৃতিতে বাঙালি সৈন্য, ইপিআর ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের প্রতি পাকিস্তানি প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানানো হয়।

জহুর আহমেদ চৌধুরী, এম আর সিদ্দিকী, এম এ হান্নান, এম এ মান্নান, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মৌলভী সৈয়দ আহমেদ, এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে ‘চট্টগ্রাম সংগ্রাম পরিষদ’গঠিত হয়। কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে আসা যে কোনো সিদ্ধান্ত চট্টগ্রামে বাস্তবায়নে সংকল্পবদ্ধ হয় পরিষদ।

করাচিতে ন্যাপ প্রধান ওয়ালী খান সাংবাদিকদের জানান, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য ১৩ মার্চ ঢাকায় আসবেন তিনি। ক্ষমতা যাতে হস্তান্তর করা যায়, সে জন্য আগে শাসনতন্ত্র প্রণয়নের চেষ্টা করবেন।

করাচি থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে টেলিগ্রাম/টেলিফোন বার্তায় আপসে বসার আহ্বান জানান এয়ার মার্শাল আসগর খান। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি যেকোনো সময় বদলে যেতে পারে। পাকিস্তানের পতাকার মর্যাদা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সেনানিবাস।’

তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ওয়েবসাইট, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনাপঞ্জি ১৯৭১-২০১১’ -মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট