ঈদের আনন্দকে আনন্দময় করেন যারা।
এডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হকঃ১৮ জুন ২০২৪
ঈদ মানে আনন্দ। এই ঈদের আনন্দর কে যারা শত কষ্ট করে হলেও কষ্টকে কষ্ট মনে না করে নিরবে নিভৃতে পরিবারের সবার জন্য নিজেকে সদা নিয়োজিত রাখেন সবার জন্য। তারা আমাদের পরিবারের নারী সদস্যরা।
ঈদের আনন্দকে আনন্দময় করার জন্য নারী সদস্যরা অনেক কিছু করেন, যা পারিবারিক ও সামাজিক পরিবেশকে আরো প্রফুল্ল করে তোলে। তারা সাধারণত যা যা করেন তা হলো:
**পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সাজসজ্জা:** ঈদের আগে ঘরবাড়ি পরিষ্কার করা, সাজানো, এবং নতুন পর্দা বা বিছানার চাদর ব্যবহার করা হয়।
**পাকপাণীয় ও রান্নাবান্না:** নারী সদস্যরা বিশেষ খাবার রান্না করেন, যেমন সেমাই, পোলাও, বিরিয়ানি, কাবাব ইত্যাদি। তারা বিভিন্ন রকমের মিষ্টান্নও তৈরি করেন।
**পোশাক প্রস্তুতি:** নিজের এবং পরিবারের সবার জন্য নতুন পোশাক কেনা ও প্রস্তুত করা হয়। বিশেষ করে বাচ্চাদের পোশাক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করা হয়।
**সাজগোজ ও সৌন্দর্যচর্চা:** ঈদের দিন সকলে সেজেগুজে থাকে। নারী সদস্যরা মেহেদি লাগান, নতুন গহনা পরেন এবং সুন্দর করে সাজেন।
**অতিথি আপ্যায়ন:** ঈদের দিনে আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং তাদের আপ্যায়ন করা হয়।
**দরিদ্রদের সাহায্য:** সমাজের দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের সাহায্য করার জন্য ফিতরা ও যাকাত দেওয়া হয়।
ঈদুল আযহার কোরবানি দেওয়ার পর মাংস বিতরণ করা রান্নাবান্না থেকে শুরু করে সমস্ত কাজই তারা করে থাকেন।
**পারিবারিক বন্ধন:** ঈদের সময় পরিবার একত্রিত হয় এবং সবাই একসঙ্গে সময় কাটায়। এটি পারিবারিক বন্ধনকে আরো শক্তিশালী করে।
এইসব কাজের মাধ্যমে নারী সদস্যরা ঈদের আনন্দকে আরও আনন্দময় ও স্মরণীয় করে তোলেন।
এই ঈদে নারী সদস্যরা কিভাবে তারা কাজকর্ম কি করেন তারই প্রেক্ষাপটের একটি সচিত্র প্রতিবেদন আমরা লক্ষ্য করতে পারি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট জেসমিন সুলতানা তার ফেসবুক পোষ্টের মাধ্যমে কিছু মূল্যবান বর্ণনা দেখতে পাই।
তার ফেসবুক পেজ পেইজে দেওয়াই স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলো
“ভাবছি এ গরমে কি আর এমনকাজ?
৪৫ ডিগ্রি গরমের মধ্য ঈদের আনন্দে হৈহৈ রৈরৈ।
ঈদের আগের রাতে কিচেনে আগুনের চুল্লীর মধ্য কোরবানীর ঈদের আগাম প্রস্তুতি।
পিয়াজ,মরিচ,আদা, রসুন, গরমমশলা,পাঁচফোড়ন , পিয়াজ বেরেস্তা তৈরী করা।। ঈদের ভোরের জন্য হালকা খাবার পায়েশ,পুডিং,শাহীটুকরা, কেক তৈরী করা।
কি আর এমন কাজ?
ভোর ৬.০০ টায় উঠে কোরবানীর গরু জবাই করতে আসবে তাদের জন্য খিচুরী, গোসত,রান্নাকরা,শেমাই,লাচ্ছি,লুডলস, পোলাউ কোরমা রান্না করা। ঘর দোর পরিস্কার করা
কি আর এমন কাজ?
ঘরে গোসত আসে সকাল ৮.০০ কারন হলো সবার আগে চুলায় হাড়ি দেয়া। সাথে স্বাদ মশল্লায় সবার মনঃপুত হওয়া এমন রান্না করা।
এই গরমে কি আর এমন কাজ?
সব গোসত তিন ভাগ করা একভাগ নিজের জন্য,একভাগ আত্মীয় পাড়া প্রতিবেশীদের, একভাগ যারা কোরবানী দিতে পারেনা তাদের ভাগ করে দেয়া।
কি আর এমন কাজ?
বিকেলে সব গুছিয়ে আবারাও বড় বড় হাড়িতে রান্না বসিয়ে দেয়া।।ঘর দোর পরিস্কার করা।
কি আর এমন কাজ?
মেহমান এলে তাদের আপ্যায়ন করে সব ধৌত করা।
কি এমন কাজ?
সকাল সকাল গত ঈদের দিনের রান্নার সব চুলায় দেয়া, সাথে মাছ, ভাতের আয়োজন করা।
কি আর এমনকাজ?
এ গরমে চালের রুটি সবার জন্য তৈরী করা।।
পরের দিনের ফিরিস্তি আর না-ই দিলাম। কি আর এমন কাজ?
আসলে মজা করেই লিখলাম এ গুলো সবাইকেই ঘেমে হোক,নেয়ে হোক করতে হয়,নিজের জন্য,নিজের সন্তুষ্টির জন্য,ভালবাসার মানুষদের জন্য।
কি আর এমন কাজ?
সারা দিন নেই কো কোন সাজ।
নারীর জন্ম, যত শিক্ষিত, ক্ষমতাধর হওনা কেন হাঁড়ি তোমাকে ঠেলতেই হবে।”
ছবিঃএডভোকেট জেসমিন সুলতানা।