ভোর থেকে শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সাধারণ মানুষের ঢল
এডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক, আদালত বার্তা : ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪
ভোর থেকে শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সাধারণ মানুষের ঢল
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভোর থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজারও মানুষের ঢল নেমেছে। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ফুল হাতে দলে দলে মানুষ এসে হাজির হয়েছেন শহীদ বেদীতে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় অমর একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি…’ বাজানো হয়।
এরপর রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন দল ও সংস্থার ব্যক্তিবর্গ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে সাধারণ মানুষের জন্য শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ খুলে দেওয়া হয়। সারিবদ্ধভাবে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ফিরে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা অনেকের হাতেই ফুল ও প্লেকার্ড শোভা পায়। অনেকে কালো পোশাক পরে হাজির হয়েছেন বায়ান্নর ভাষা শহীদদের স্মৃতির বেদিতে।
বাংলাদেশ কৃষক লীগের কৃষি ও সমবয় বিষয়ক সম্পাদক ও কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য সচিব এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ফরিদুন নাহার লাইলি ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে বলেন
, “বাংলা ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন সেই বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। বাংলা আমাদের মায়ের ভাষা, মুখের ভাষা। আমরা বাংলা ভাষাকে ভালোবাসি। এই ভাষাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রাণ দিয়েছেন আমাদের ভাইয়েরা। আমরা তাদের প্রাণের বিনিময়ে পেয়েছি আমাদের মাতৃভাষাকে। রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বত্র যাতে বাংলা ভাষার প্রচলন এবং সর্বাধিক ব্যবহারিত হয় সেই ব্যাপারে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বাংলা ভাষা ব্যবহারের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে তবেই ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের প্রকৃত মূল্যায়ন হবে।
বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহ- আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাবেয়া হক শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বলেন ” রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকগন বাংলা ভাষায় রায় লেখা শুরু করেছেন এবং বাংলা ভাষা ব্যবহার প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সর্বোত্তই এমনিভাবে বাংলা ভাষার ব্যবহারে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব মূলত ভাষার মৌলিক অধিকার এবং সাংস্কৃতিক পরিচয় বেড়ে তোলা হয়। এটি ভাষা সংরক্ষণ, উন্নতি এবং প্রচারের লক্ষ্যে আমরা আমাদের মাতৃভাষার মূল্য উপস্থাপন করি। মাতৃভাষা বাড়ানো মানবসম্প্রদায়ের ভাষাগুলির সংরক্ষণে এবং ভাষার দ্বারা সমাজ ও সাংস্কৃতিক সংবাদে অগ্রগতি হয়।
আমরা চাই তরুণ প্রজন্ম বাংলা ভাষাকে ভালোবাসুক, প্রমিত বাংলায় কথা বলুক। ভাষা আন্দোলনের উদ্দেশ্য যেন এখন এসে বৃথা না যায়।বিশ্বে আজ আন্তর্জাতিকভাবে মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে আমাদেরকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলা ভাষাকে আরো সমদ্বিত করার জন্য সর্বক্ষেত্রে এর প্রচার প্রসারে ভূমিকা রাখার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
তাছাড়া ডিজিটাল প্লাটফর্মে বাংলা ভাষার ব্যবহারের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে ” হবে। “