‘শেখ হাসিনা আবারও সরকারপ্রধান হবেন কোনো সন্দেহ নেই’
নিউজ ডেস্ক আদালত বার্তা :২৮ জুলাই ২০২৩
‘শেখ হাসিনা আবারও সরকারপ্রধান হবেন কোনো সন্দেহ নেই’ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর সন্তানরা বেঁচে থাকতে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসা যাবে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, সামনের দিনে শেখ হাসিনা আবারও দেশের সরকারপ্রধান হচ্ছেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বায়তুল মোকাররমে দক্ষিণ গেটে ক্ষমতাসীনদের শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। এ সমাবেশের আয়োজন করে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ।
আব্দুর রহমান বলেন, ওরা নিশ্চিত জানে- যতই অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক, বাংলাদেশের মানুষের মেন্ডেট তারা পাবে না। তাই তারা ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের মাধ্যমে সরকার পতনের দিবাস্বপ্ন দেখে। আগামী দিনে শেখ হাসিনা আবারও সরকারপ্রধান হবে, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। আর জনমের মতো ওদের শিক্ষা দিতে হবে- বঙ্গবন্ধুর সন্তানরা বেঁচে থাকতে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসা যাবে না।
তিনি বলেন, যাদের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা এসেছে, ৬৯ এ গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, ৯০ এ স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, আপনারাই তো তারা। এই যুব ও ছাত্রজনতার নেতৃত্বে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে।
বিকেল সোয়া ৩টায় বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় শান্তি সমাবেশ।
এতে সভাপতিত্বে করছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু যৌথভাবে সঞ্চালনা করছেন।
সমাবেশে আরও অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাজাহান খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেসবাউল হোসেন সাচ্চু, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
শান্তি সমাবেশ উপলক্ষে দুপুর থেকে রাজধানীর ঢাকার বিভিন্ন ইউনিট এবং দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তিন সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হন বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে খেলা শুরু হয়েছে। ১/১১-এর সরকারের জন্য খেলছে। আশা করছি, যুব ও ছাত্র-জনতা এ ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে ক্ষমতাসীনদের শান্তি সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। এ সমাবেশের আয়োজন করে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম তিন সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, যে দলের জন্ম হয়েছে ক্যান্টনমেন্টে অবৈধ প্রক্রিয়ায়। তাদের দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র হবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাংবিধানিক ধারা, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে। এ তারুণ্য এটি বাস্তবায়ন করবে।
তিনি বলেন, কী কারণে এ শান্তি সমাবেশ করতে হচ্ছে? ২০০৯ থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন শেখ হাসিনা। বিএনপি পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। জঙ্গিদের দেশ বানিয়ে ছিল। আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হতে চলেছি, আর তখনি বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্রে নেমেছে। বাংলাদেশ নিয়ে খেলা শুরু হয়েছে। কারা খেলছেন? ১/১১ এর সরকারের স্বপ্ন যারা দেখেন, তারাই খেলছেন। তাদের ষড়যন্ত্রের জবাবে আমাদের এ শান্তি সমাবেশ। যুব ও ছাত্র-জনতাকে এ ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
এর আগে বিকেল সোয়া তিনটায় বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশ শুরু হয়।
এতে সভাপতিত্বে করছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু যৌথভাবে সঞ্চালনা করছেন। সমাবেশে আরও অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু ও ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
সমাবেশ উপলক্ষে দুপুর থেকে রাজধানীর ঢাকার বিভিন্ন ইউনিট এবং দেশের বিভিন্ন জেলা শাখা থেকে তিন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আসেন। তবে, বৃষ্টিতে সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীরা কিছুটা বেকায়দায় পড়েন। কেউ কেউ আশপাশের এলাকায় আশ্রয় নেন। বিঘ্ন ঘটলেও অনেকে আবার ভিজেই স্পটে দাঁড়িয়ে থাকেন।