1. multicare.net@gmail.com : আদালত বার্তা :
রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:০৫ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু, নদীতে চলছে অভিযান বিচার বিভাগের কাজের মধ্যে দিয়েই জনগণ আমাদের পদক্ষেপ বুঝতে পারবে’–প্রধান বিচারপতি নিজের পেশায় সন্তুষ্ট থাকা নির্বাচনের সময় মন্ত্রণালয়গুলো ইসির হাতে থাকা উচিত: সাখাওয়াত রাজধানীতে সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি শনিবার আবহাওয়া যেমন থাকবে। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন এবং পূজায় ৩৫ অপ্রীতিকর ঘটনায় ১১ মামলা, ২৪ জিডি, ১৭ গ্রেপ্তার: আইজিপি আজ বিশ্ব ডিম দিবস সবাই যেন শান্তিপূর্ণভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে। পূজা ঘিরে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না: আইজিপি এসি একটানা কতক্ষণ চালানো যায়?

আ. লীগের হিসাব পাল্টে যাবে বিএনপির সিদ্ধান্তে

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

আ. লীগের হিসাব পাল্টে যাবে বিএনপির সিদ্ধান্তে।
ডেস্ক নিউজ আদালত বার্তা : ২৭ এপ্রিল ২০২৩
বিগত দুটি জাতীয় নির্বাচনে জোটের ভূমিকা না থাকলেও আগের কয়েকটি নির্বাচনে জোট গড়ে ব্যাপক সাফল্য পায় সংশ্লিষ্ট দলগুলো। সামনের নির্বাচনেও জোট নিয়ে নানা পরিকল্পনা করছে আওয়ামী লীগ।
ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা বলছেন, দ্বাদশ নির্বাচন সামনে রেখে জোটের স্বরূপ কী হবে, তা নির্ভর করছে বিএনপির অবস্থানের ওপর। বিএনপি নির্বাচনে না এলে অঘোষিত মহাজোট হবে। সে ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে সম্ভাব্য নতুন জোটের প্রতি আওয়ামী লীগের থাকবে নীরব সমর্থন। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দলগুলো নিয়ে আলাদা ফ্রন্ট গড়ার ক্ষেত্রেও থাকবে পরোক্ষ সমর্থন। তবে ১৪ দলীয় জোট অটুট রাখা হবে। তবে বিএনপি অংশ না নিলে নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য রূপ দিতে সরকার চেষ্টা করবে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের আদর্শিক ১৪ দলীয় জোট অটুট আছে এবং থাকবে। আর নির্বাচন ঘিরে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি যারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উন্নয়নে বিশ্বাস করে, তাদের নিয়ে জোট হতে পারে। নির্বাচন যত কাছে আসবে, তখন এসব নিয়ে আলাপ-আলোচনা হবে।’
ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে সরকার চাইবে যত বেশি সম্ভব বিরোধী দল বানাতে এবং বেশিসংখ্যক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাতে। নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য দেখাতে কয়েকটি ছোট দলকে কিছু আসনও ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
ওই নেতারা বলছেন, ২০১৮ সালে জাতীয় পার্টির সঙ্গে অঘোষিত নির্বাচনী মহাজোট ছিল। বিএনপি অংশ না নিলে এবারও তেমনটি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাদের নির্দিষ্ট কিছু আসন ছেড়ে দেওয়া হবে। আর বিএনপি নির্বাচনে এলে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর ভোট যাতে তাদের বাক্সে না পড়ে, সে ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তেমন ক্ষেত্রে ধর্মভিত্তিক দলগুলো নিয়ে জাপার নেতৃত্বে আলাদা জোট গড়তে সহায়তা করা হবে। আর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দলগুলোকে নির্বাচনী জোটে নেওয়া হবে। তবে জোটের চূড়ান্ত রূপ কী হবে, সেটা দেখার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
টানাপোড়েনেও অটুট ১৪ দল
২০০৪ সালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলগুলোর সমন্বয়ে ২৩ দফার ভিত্তিতে ১৪ দলীয় জোট গঠন করা হয়েছিল। তাতে ছিল আওয়ামী লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), ন্যাপ (মোজাফফর) এবং বামপন্থী ১১ দলীয় জোট। যদিও ১১ দলের সব দল ওই জোটে শরিক হয়নি। শুরু থেকে ১১ দলে ছিল সিপিবি, ওয়ার্কার্স পার্টি, গণফোরাম, সাম্যবাদী দল, বাসদ (খালেকুজ্জামান), বাসদ (মাহবুব), গণতন্ত্রী পার্টি, গণআজাদী লীগ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি ও শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল। সিপিবি, বাসদ (খালেকুজ্জামান) ও শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল ১৪ দলীয় জোটে সম্পৃক্ত হয়নি। গণফোরামও জোট থেকে বেরিয়ে যায়। বর্তমানে ১৪ দলীয় জোটে আছে আওয়ামী লীগ, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), তরিকত ফেডারেশন, গণতন্ত্রী পার্টি, সাম্যবাদী দল, বাসদ (রেজাউর), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, গণআজাদী লীগ ও ন্যাপ (মোজাফফর)। ২০১৬ সালে জাসদ ভেঙে বাংলাদেশ জাসদ গঠিত হলে তারাও জোটে ছিল। কিন্তু পরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে টানাপোড়েনে জোট ছাড়ে দলটি।

১৪ দল গড়ে তখন রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করেছিল আওয়ামী লীগ। জোটের অন্য দলগুলোরও গুরুত্ব ছিল। ২০০৮ সালে নির্বাচনী মহাজোটেও তাদের গুরুত্ব ছিল। ওই নির্বাচনের পর সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়াকে করা হয় শিল্পমন্ত্রী। ২০১৪ সালের নির্বাচনকালীন সরকারে হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেনন জায়গা পান। দশম নির্বাচনে জোট থেকে ১৫ জন এমপি হন। আর মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পান মেনন, ইনু ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। ২০১৮ সালের নির্বাচনে জোটের আটজন এমপি হন। তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের পর শরিকবিহীন সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এর পর থেকেই শরিকদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে। শরিক দলের নেতারা নানা সময়ে সরকারের সমালোচনাও করেন। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ‘একলা চলার’ অভিযোগও তোলে শরিকেরা। তবে সবকিছুর পরও ঐক্য অটুট রাখতে চান নেতারা।
ধর্মাশ্রয়ী দলগুলোকে জাপার দিকে ঠেলার চিন্তা
২০০৮ সালের নির্বাচনী মহাজোটের শরিক জাপা এখন বিরোধী দলের আসনে। জানা গেছে, আগামী নির্বাচন মহাজোটগতভাবে না করার বিষয়ে এখন পর্যন্ত মনস্থির করে আছে আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রচলিত ধারণা ইসলাম ধর্মের নাম ব্যবহার করে রাজনীতি করা দলগুলো বিএনপির প্রতি বেশি ঝুঁকে থাকে। এর বাইরে জাতীয় পার্টির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালো। ওই দলগুলো এবারের নির্বাচনে যাতে জাপার নেতৃত্বে জোটবদ্ধভাবে অংশ নেয়, সেই চেষ্টাই করবে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য বলেন, ‘ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে আমাদের সঙ্গে না নিয়ে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলাদা জোটে ঠেলে দিলে তাদের ভোট বিএনপির দিকে যাবে না। প্রয়োজনে তাদের কিছু আসনে ছাড়ও দেওয়া হতে পারে।’
ছোট দলগুলোর জোটে পরোক্ষ সমর্থন
জানা গেছে, বিএনপি নির্বাচনে না এলে দলটির মিত্রদের মধ্য থেকে কিছু দল এবং কাদের সিদ্দিকী, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, মোস্তফা মহসীন মন্টু এবং উকিল আবদুস সাত্তারের মতো তৃণমূলে জনভিত্তি থাকা বিএনপির কয়েকজন নেতাকে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আরেকটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গড়তে আওয়ামী লীগ পরোক্ষভাবে সমর্থন দেবে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক মহলে দর-কষাকষিও চলছে।

গত ডিসেম্বরে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সপরিবার সাক্ষাৎ শেষে কাদের সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘দুজন রাজনীতির মানুষ যখন এক হয়, তখন তো রাজনৈতিক আলাপ হবেই।’ এরপর তিনি আওয়ামী লীগে ফিরছেন বা ১৪ দলীয় জোটে যোগ দিচ্ছেন, এমন আলোচনা শুরু হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখনো কিছু বলতে পারছি না। একটু অপেক্ষা করতে হবে।’

 

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট
error: Content is protected !!