একটি হাসপাতালের ইমাজেন্সিতে গিয়ে বুঝা যায়, এই হাসপাতালের ভেতরের অবস্থা কী? এসব দেখে একজন ডাক্তার হিসেবে খুব লজ্জিত হই…………….স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
নিউজ ডেস্ক আদালত বার্তাঃ১৮ জুন ২০২৪।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, ঈদের ছুটিতে রাজধানীর কয়েকটি বড় হাসপাতাল ভিজিট করে একজন ডাক্তার হিসেবে লজ্জা লাগছে। একটি হাসপাতালের ইমাজেন্সিতে গিয়ে বুঝা যায়, এই হাসপাতালের ভেতরের অবস্থা কী? এসব দেখে একজন ডাক্তার হিসেবে খুব লজ্জিত হই।
যেসব ক্লিনিকে মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবা নেই বা অনুমোদহীন সেই সব ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘সম্প্রতি অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগের কারণে অনেক রোগী মারা গেছেন। বিষয়টি আমরা আমলে নিয়ে কাজ করছি। অ্যানেসথেসিয়া ড্রাগ হ্যালোজিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা যে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে ব্যবহার করবে এবং যে ফার্মেসি বা দোকানে বেচাকেনা হবে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এরই মধ্যে এই বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
সামন্ত লাল সেন বলেন, ঈদের ছুটিতে রাজধানীর কয়েকটি বড় হাসপাতাল ভিজিট করে একজন ডাক্তার হিসেবে লজ্জা লাগছে। একটি হাসপাতালের ইমাজেন্সিতে গিয়ে বুঝা যায়, এই হাসপাতালের ভেতরের অবস্থা কী? এসব দেখে একজন ডাক্তার হিসেবে খুব লজ্জিত হই। আমাদের এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দেশের সাধারণ মানুষ খুব বেশি কিছু চান না। তারা শুধু মানসম্মত চিকিৎসা সেবা চান।
তিনি আরোও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্যসেবা সেমিনারে যখন যাই তখন আমরা শুধু একটি কথাই শুনতে পাই, প্রান্তিক পর্যায়ে বাংলাদেশ যে চিকিৎসাসেবায় উন্নতি করেছে সেজন্য সবাই প্রথমেই শেখ হাসিনার নাম নিয়ে বক্তব্য শুরু করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরোও বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যরা যদি উপজেলা স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে নজর দেন তবে স্বাস্থ্যসেবার মান আরো উন্নত হবে। প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। আমরা সেই আলোকেই কাজ করে যাচ্ছি। এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোনারাগাঁ উপজেলা হাসপাতালে মুজিব কর্ণার উদ্বোধন করেন।
এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার, সিভির সার্জন মুশিয়ার রহমানসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার বলেন, মন্ত্রী কোথাও ভিজিট করলে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা বুঝানোর চেষ্টা করেন হাসপাতালটি পরিপূর্ণ ও সৌন্দর্য আছে। আমরা সঠিক বিষয়টি মন্ত্রী বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামনে তুলে ধরি না।
তিনি আরোও বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে আমরা অচিরেই সোনারগাঁয়ের প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করব। সেখানে কী কী সমস্যা আছে সেগুলো চিহ্নিত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শরণাপন্ন হব। আমার বিশ্বাস স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের সে সব সমস্যা সমাধান করবেন। এসময় বারদী কমিউনিটি ক্লিনিককে ২০ শষ্যা হাসপাতাল বানানোর জন্য মন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন।