দেশের ১০ অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ডেস্ক নিউজ আদালত বার্তা :২৬
বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৩.৩০ থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দেয়া দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, পাবনা, কুষ্টিয়া, যশোর, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ এবং ফরিদপুর অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে বুধবার সকাল থেকে ঢাকায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। এদিন সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৭৮ শতাংশ।
বান্দরবানে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। বুধবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন ১৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
তীব্র গরমে নাজেহাল জনজীবন। এর মাঝেই দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাচ্ছে। তবে এতেও স্বস্তি মিলেনি। হঠাৎ করেই সূর্যের তাপমাত্রা বাড়ছে, আবার কখনো কিছুটা কমছে। আর এরই মাঝে আবহাওয়াবিদরা জানালেন, আগামী মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বঙ্গোপসাগরে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেল অনুযায়ী, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। ওই ঘূর্ণিঝড় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ অথবা বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা আরও জানিয়েছেন, আরও কিছুদিন না গেলে এই ঝড়ের ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব নয়।
তবে প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিষুব রেখার কাছে সুমাত্রা সাগর বা আন্দামান সাগরে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হতে পারে। উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে ঝড়টি অগ্রসর হবে। আর এটি ঠিক কোথায় আঘাত হানবে সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। কিন্তু আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, ওই সময় বঙ্গোপসাগরের আবহাওয়া ঘূর্ণিঝড়টির শক্তি সঞ্চয়ের জন্য সহায়ক হতে পারে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন বলছে, বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা ওয়েদার অব কলকাতার কর্মকর্তা রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা বলেছেন, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরের আবহাওয়া পরিস্থিতি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির অনুকূলে থাকবে। এই ঝড়টি ঠিক কোথায় সৃষ্টি হবে সেটি এত আগে বলা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, ঝড় সৃষ্টি হলে ওই সময় এর গতিপথ নির্দিষ্ট করে বলা যাবে। তবে মে মাসে পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। ফলে আমরা এখন পরিস্থিতির দিকে খেয়াল রাখছি। আর শেষ পর্যন্ত যদি এ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়, তবে সেটির নাম হবে ‘মোচা’।