পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল না ‘এমভি আব্দুল্লাহ
নিউজ ডেস্ক আদালত বার্তা : ১৪ মার্চ ২০২৪
জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল না। সাধারণত একটি জাহাজের তিন ফুট উচ্চতার কাঁটাতারের বেষ্টনী থাকে রেলিং জুড়ে। এর ফলে কেউ জাহাজ বেয়ে উপরে উঠতে পারে না। কিন্তু এই জাহাজে কোনো বেষ্টনী ছিল না। অপরদিকে জলদস্যুতা ঠেকাতে জলকামানের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলেও এই জাহাজে তা করা হয়নি। এইসব কারণে জাহাজটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জাহাজে আটক ২৩ নাবিকের মধ্যে একজনের পাঠানো ভিডিওতে দেখা যায়, জলদস্যুরা জাহাজ বেয়ে উপরে উঠে আসছে। আর এই উঠে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে একাধিক শিপিং কোম্পানির প্রতিনিধি ও অন্যান্য জাহাজে কর্মরত ক্যাপ্টেনরা প্রশ্ন তুলেন, জাহাজটিতে কাঁটাতারের রেলিং নেই কেন?
‘মা আর কথা নাও হতে পারে, ঈদে যা লাগে কিনে নিও’‘মা আর কথা নাও হতে পারে, ঈদে যা লাগে কিনে নিও’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জুয়েল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘একটি জাহাজের নিজস্ব কিছু নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু এখানে তা আমরা দেখছি না। যদিও ৫০ জন সশস্ত্র দস্যুর সামনে এগুলো কিছু নয় তারপরও প্রাথমিক প্রতিরোধ করা যেতো।’
এই প্রাথমিক প্রতিরোধের বিষয়ে অন্য এক জাহাজের কর্মরত ক্যাপ্টেন জানান, এইসব নিরাপত্তা থাকলে আমরা কিছুটা সময় বিলম্ব করতে পারতাম। এতে জাহাজ চালিয়ে নিরাপদ দূরত্বে হয়তো নিয়ে আসা যেতো। একইসাথে উদ্ধারকারী দলকে অবহিত করা গেলে তারা চলে আসতে পারতো। কিন্তু এখানে তা হয়নি।
টাকা না দিলে মেরে ফেলবে শুনে মুর্ছা যাচ্ছেন জিম্মি নাবিকের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীটাকা না দিলে মেরে ফেলবে শুনে মুর্ছা যাচ্ছেন জিম্মি নাবিকের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ একটি রুট দিয়ে জাহাজ চলাচল করছে কিন্তু সেখানে সশস্ত্র টিম পাহাড়াদার হিসেবে কেন নেওয়া হয়নি সেটাও কিন্তু একটি প্রশ্ন।’
শিপিং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই রুটে প্রত্যেক জাহাজে সশস্ত্র পাহাড়া দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি। যেহেতু লোহিত সাগরে হুতিদের আক্রমণ ও এডেন উপসাগরে সোমালিয়া উপকূলের কাছাকাছি সোমালিয়ার জলদস্যুদের আক্রমনের ঝুঁকি রয়েছে তাই অনেকে সশস্ত্র পাহাড়া টিম নিয়ে থাকে।
জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি জাহাজা যেখানে নিয়ে যাচ্ছে জলদস্যুরাজিম্মি হওয়া বাংলাদেশি জাহাজা যেখানে নিয়ে যাচ্ছে জলদস্যুরা
তবে এই জাহাজে কোনো সশস্ত্র পাহাড়া ছিল না। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি ২৩ জন নাবিকসহ জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর মুক্তিপণ চেয়েছে জলসদ্যুরা। বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ জাহাজটি সোমালিয়ায় জলদস্যুদের উপকূলে নিয়ে যাবে তারা।
যেভাবে জলদস্যুরা বাংলাদেশি জাহাজ নিয়ন্ত্রণে নেয়যেভাবে জলদস্যুরা বাংলাদেশি জাহাজ নিয়ন্ত্রণে নেয়
জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি জাহাজে ২৫ দিনের খাবার আছেজিম্মি হওয়া বাংলাদেশি জাহাজে ২৫ দিনের খাবার আছে।
সোমালিয়া উপকূলে নেওয়া হচ্ছে জাহাজটি
নাবিকরা সুস্থ আছেন, ফিরিয়ে আনতে আলোচনা চলছে
টাকা না দিলে মেরে ফেলবে শুনে মুর্ছা যাচ্ছেন জিম্মি নাবিকের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী
জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি জাহাজা যেখানে নিয়ে যাচ্ছে জলদস্যুরা
সোমালিয়া উপকূলে নেওয়া হচ্ছে জাহাজটি
নাবিকরা সুস্থ আছেন, ফিরিয়ে আনতে আলোচনা চলছে
টাকা না দিলে মেরে ফেলবে শুনে মুর্ছা যাচ্ছেন জিম্মি নাবিকের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী
জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি জাহাজা যেখানে নিয়ে যাচ্ছে জলদস্যুরা
নাবিকদের ছাড়তে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার চেয়েছে জলদস্যুরা