প্রত্যাশিত স্থানে সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে আ.লীগ-বিএনপি
নিউজ ডেস্ক আদালত বার্তা :২৬ অক্টোবর, ২০২৩
প্রত্যাশিত স্থানে সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে আ.লীগ-বিএনপি
প্রত্যাশিত স্থানেই সমাবেশের অনুমতি পেতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও অন্যতম প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তবে প্রত্যাশিত স্থানে সমাবেশের অনুমতি দিলেও রাজধানীজুড়েই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক অনুমতি না দিলেও শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) এ বিষয়ে অনুমতি দেওয়া হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘এখনও লিখিতভাবে কোনও দলকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে আমরা একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। শুক্রবার বিকালে বিষয়টি জানানো হবে।’
তিনি বলেন, এখনো লিখিতভাবে কোনো দলকে অনুমতি দেয়া হয়নি। আগামীকাল (শুক্রবার) সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। পুলিশ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ঢাকার প্রবেশমুখে প্রত্যেকটা জায়গায় চেকপোস্ট বসবে ও তল্লাশি করা হবে।
একই দিন মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে ডিএমপিকে চিঠি দিয়েছিল জামায়াত। কিন্তু দলটিকে কোনোভাবেই সমাবেশ করতে মাঠে নামতে দিতে রাজি নয় পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, সমাবেশ করা প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলে শহরে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এ কারণে রাজনৈতিক দলগুলোকে সড়ক এড়িয়ে কোনও খোলা জায়গা বা মাঠে সমাবেশ করার অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের ইচ্ছামতো জায়গায় সমাবেশ করতে চায়। এ জন্য তারা পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া সব শর্ত পালন করবে বলে কথা দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ কারণে নিজ নিজ পছন্দমতো জায়গায় সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
ডিএমপি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ডিএমপির হেডকোয়ার্টারে অন্তত চার দফা বৈঠক করেছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বৈঠকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশের স্থান নির্ধারণসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে প্রাথমিকভাবে আওয়ামী লীগকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে ও বিএনপিকে নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি শুক্রবার বিকালে রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দিয়ে জানানো হবে। চিঠিতে দুটি দলকেই ২৫ থেকে ৩০টি শর্ত দেওয়া হবে।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এক দফার যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বিএনপি বলছে, দেশে দলীয় সরকারের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। এ কারণে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্তির মধ্য দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় দলটি।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনা সরকারের অধীনেই হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সংবিধানের ব্যত্যয় করার কোনো সুযোগ নেই।