বাইডেনকে ঘর সামলানোর পরামর্শ দিলেন ফজলে হোসেন বাদশা।
নিউজ ডেস্ক আদালত বার্তা :২২জুন ২০২৩।
বাইডেনকে ঘর সামলানোর পরামর্শ দিলেন ফজলে হোসেন বাদশা অন্যদেশে নাক না গলিয়ে বাইডেন সাহেবকে ঘর সামলানোর পরামর্শ দিয়েছেন ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। তিনি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনো এদেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের মদদ দিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পরও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ বিরোধীনীতির কোন পরিবর্তন ঘটেনি। তাই বাংলাদেশকে চাপে রাখতে স্যাংশন ও দেশের নির্বাচনের সময় ভিসানীতি ঘোষণা করেছে। এ সময় তাদের এ সকল প্রচেষ্টা নির্বাচনের সময় তার অর্থ ক্ষমতার পরিবর্তনে মদদ যোগানো। আমাদের দেশের জনগণের উপর আমাদের আস্থা আছে। বাইডেন সাহেবের উচিত নিজের ঘর সামলানো।
আজ বৃহষ্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, সংবিধান অনুসরণ করেই বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় রেখেই নির্বাচন হবে। বিএনপি’র উচিত এই নির্বাচনে আসা। বিদেশী ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা না দেওয়া। তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আর্দশের শক্তি ক্ষমতায় থাকলে দেশের অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে। অতীতে সাম্প্রদায়িক শক্তি, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি দেশের অগ্রগতি ও ঐতিহ্যকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। তাই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী সাম্প্রদায়িক ও অশুভ শক্তির সাথে আতাঁত করা ক্ষতিকর হবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির ঐক্য আরো দূঢ় করতে হবে। সেন্ট মার্টিন বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় থাকার প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জাানান তিনি।
ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বাদশা বলেন, বিএনপি আমলে বিদ্যুৎ উপাদন না করে খাম্বা বসানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শতভাগ বিদ্যুৎতায়নের যে গৌরব অর্জন করেছিলেন, বেশ কিছুদিন যাবত দেশের অধিকাংশ অঞ্চল বিদ্যুৎ সংকটে পড়েছে। গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সংকট বেশী। এই সমস্যার দ্রুত সমাধানে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ জরুরি। তিনি বলেন, বর্তমান বাজেট আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা দেশ ও আন্তর্জাতিকভাবেই সংকটকালীন সময়ের বাজেট। মুদ্রাস্ফিতি, রির্জাভ কমে যাওয়া, জ্বালানী সংকট, ডলার সংকট, নদীর পানির সংকট, সেচ ব্যবস্থার মহাসংকট সর্বত্র।
সংসদ সদস্য বাদশা বলেন, দেশে ক্রমর্বধমান অর্থনৈতিক বৈষম্য কোন স্বাভাবিক ঘটনা নয়। সমগ্র অর্থনীতিতে কর ফাঁকি, কর ছাড়, নিম্ম মজুরী, অনিয়ম, দূর্নীতির কারণে বৈষম্য বাড়ছে। তার সঙ্গে বিদ্যমান অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ব্যবস্থার ঘনিষ্ঠ সর্ম্পক রয়েছে। যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সম্পদের সুষম বন্টনের বদলে উল্টো সর্বজনের সম্পদ মুষ্টিমেয় ধনী ব্যক্তির হাতে হস্তান্তরিত ও কেন্দ্রীভূত হওয়া স্বাভাবিক মনে যেন না করা হয়। কারণ আমাদের মুক্তিচেতনা ও তার সংবিধান বলে বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য। এই প্রবণতাকে প্রত্যাখ্যান না করে সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের আর্দশ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয় বলে দাবি করেন তিনি।