আপনারা যারা আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য বার কাউন্সিল পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছেন তারা অবশ্যই কেস ডায়েরি সম্পর্কে অবগত আছেন । কেস ডায়েরি সম্পর্কে প্রথমে জেনে নিন কেস ডায়েরি কি ?
ভাইবা পরীক্ষার জন্য কেস ডায়েরি লেখার নিয়ম |
কেস ডায়েরি (Case-Diary):—
আপনি একজন শিক্ষনবীশ, আপনি আইনজীবি হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য বার কাউন্সিল পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে কৃতকার্য হতে হবে ।পরীক্ষায় অংশগ্রহন করার আগে একজন সিনিয়রের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থেকে আদালতে দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা পরিচালনা করতে হবে ।উক্ত মামলা সমুহে আপনি সিনিয়রকে যে যে বিষয়ে সহযোগীতা করেছে অর্থ্যাৎ মামলার যাবতীয় proceeding সমুহের ধারাবাহিক বিবরণ একটি ডায়েরিতে লিপি করতে হবে ।যাহা কেস ডায়েরি (Case-Diary) নামে পরিচিত ।
একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষনবীশ কাল ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর বার কাউন্সিল হইতে রেজিষ্টেশন কার্ড পাবে এবং ২য় ইন্টিমেশন জমা দিবে ।২য় ইন্টিমেশন জমা দেওয়ার সময় সিনিয়রের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকা মামলা গুলোর মধ্যে ৫টি দেওয়ানী ও ৫টি ফৌজদারী মামলা লিষ্ট জমা দিতে হবে ।উক্ত মামলা সমুহে সিনিয়রের সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত হওয়ার পর থেকে ভাইবা পরীক্ষার আগে পর্যন্ত কোন Step এ আছে এবং বর্তমান অবস্হা কি, মামলার বিষয়বস্তুসহ ধারাবাহিক বিবরণ কেস ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করতে হবে ।
ভাইবা বোর্ডে প্রবেশ করার সময় উক্ত কেস ডায়েরি সাথে রাখতে হবে ।অনেকে মনে করে ,কেস ডায়েরি থেকে কোন প্রশ্ন করে না ,এই ধরনের ধারনা কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল ।ভাইবা বোর্ডের স্যারেরা কেস ডায়েরি থেকে প্রশ্ন জিজ্ঞাস করতে পারেন । অনেক সময় দেখা যায় সব প্রশ্ন কেস ডায়েরি থেকে করেছে । এইজন্য আপনার কেস ডায়েরিতে লিপিকৃত মামলা গুলো সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারনা রাখতে হবে ।
কেস ডায়েরি (Case-Diary) যে বিষয় সম্পর্কে ধারনা রাখতে হবে :–
১) কেস ডায়েরিতে উল্লেখিত মামলা সমুহ বর্তমানে কোন অবস্হায় আছে বা কোন Step এ আছে ? আপনি কোন Step থেকে সিনিয়রের সাথে পরোক্ষভাবে যুক্ত হয়েছেন ।
২) উক্ত মামলা সমুহ কোন প্রকার বা ধরনের মামলা ? কোন আইন বা ধারায় দায়েল করা হয়েছে ?কোন আদালতে দায়েল করা হয়েছে এবং কেন ?
৩) উক্ত মামলা সমুহের বিষয়বস্তু বা Facts কি ? আইন অনুসারে কত দিনের মধ্যে দায়েল করতে হয় ? তামাদি সময়ের মধ্যে মামলা দায়েল হয়েছে কি না ? এই ধরনের মামলার প্রতিকার কি ?