1. multicare.net@gmail.com : আদালত বার্তা :
মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
বিএনপির নেতাকর্মীদের আ’লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ফোন কেউ ট্র্যাক করলে কীভাবে বুঝবেন সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হয়েছেন আজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সংবিধান সংশোধন হবে নাকি পুনর্লিখন, সর্বশেষ যা জানা গেল দুই মাস পিছিয়ে যাচ্ছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা ভিসা ছাড়াই চীন যেতে পারবে ৯ দেশের নাগরিক দেশের ছয়টি সরকারি মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করে সংশ্লিষ্ট জেলার নামে নামকরণ করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়ের প্রয়োজন নেই : বদিউল আলম রাজধানীর কচুক্ষেতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন

বার কাউন্সিল ভাইবা পরীক্ষার কেস ডায়েরি লেখার নিয়ম ও পদ্ধত।

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৬৪ বার পড়া হয়েছে
  1. বার কাউন্সিল ভাইবা পরীক্ষার কেস ডায়েরি লেখার নিয়ম ও পদ্ধত।

এডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক আদালত বার্তাঃ ১১ ডিসেম্বর ২০২২।

 আপনারা যারা আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য বার কাউন্সিল পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছেন তারা অবশ্যই কেস ডায়েরি সম্পর্কে অবগত আছেন । কেস ডায়েরি সম্পর্কে প্রথমে জেনে নিন কেস ডায়েরি কি ? 

বার কাউন্সিল ভাইবা পরীক্ষার কেস ডায়েরি লেখার নিয়ম ও পদ্ধতি | আইনজীবি তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি | এম সি কিউ | লিখিত | ভাইবা | legal practice bd |দেওয়ানী কার্যবিধি |ফৌজদারী কার্যবিধি |ভাচুর্য়াল কোর্ট । বাংলাদেশের আইন ও আদালত |
ভাইবা পরীক্ষার জন্য কেস ডায়েরি লেখার নিয়ম 

কেস ডায়েরি (Case-Diary):—

আপনি একজন শিক্ষনবীশ, আপনি আইনজীবি হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য বার কাউন্সিল পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে কৃতকার্য হতে হবে ।পরীক্ষায় অংশগ্রহন করার আগে একজন সিনিয়রের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থেকে আদালতে  দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা পরিচালনা করতে হবে ।উক্ত মামলা সমুহে আপনি সিনিয়রকে যে যে বিষয়ে সহযোগীতা করেছে অর্থ্যাৎ মামলার যাবতীয় proceeding সমুহের ধারাবাহিক বিবরণ একটি ডায়েরিতে লিপি করতে হবে ।যাহা কেস ডায়েরি (Case-Diary) নামে পরিচিত ।

একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষনবীশ কাল ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর বার কাউন্সিল হইতে রেজিষ্টেশন কার্ড পাবে এবং ২য় ইন্টিমেশন জমা দিবে ।২য় ইন্টিমেশন জমা দেওয়ার সময় সিনিয়রের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকা মামলা গুলোর মধ্যে ৫টি দেওয়ানী ও ৫টি ফৌজদারী মামলা লিষ্ট জমা দিতে হবে ।উক্ত মামলা সমুহে সিনিয়রের সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত হওয়ার পর থেকে ভাইবা পরীক্ষার আগে পর্যন্ত কোন Step এ আছে এবং বর্তমান অবস্হা কি, মামলার বিষয়বস্তুসহ ধারাবাহিক বিবরণ কেস ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করতে হবে ।

ভাইবা বোর্ডে প্রবেশ করার সময় উক্ত কেস ডায়েরি সাথে রাখতে হবে ।অনেকে মনে করে ,কেস ডায়েরি থেকে কোন প্রশ্ন করে না ,এই ধরনের ধারনা কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল ।ভাইবা বোর্ডের স্যারেরা কেস ডায়েরি থেকে প্রশ্ন জিজ্ঞাস করতে পারেন । অনেক সময় দেখা যায় সব প্রশ্ন কেস ডায়েরি থেকে করেছে । এইজন্য আপনার কেস ডায়েরিতে লিপিকৃত মামলা গুলো সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারনা রাখতে হবে ।

কেস ডায়েরি (Case-Diaryযে বিষয় সম্পর্কে ধারনা রাখতে হবে :

১) কেস ডায়েরিতে উল্লেখিত মামলা সমুহ বর্তমানে কোন অবস্হায় আছে বা কোন Step এ আছে ? আপনি কোন Step থেকে সিনিয়রের সাথে পরোক্ষভাবে যুক্ত হয়েছেন ।

২) উক্ত মামলা সমুহ কোন প্রকার বা ধরনের মামলা ? কোন আইন বা ধারায় দায়েল করা হয়েছে ?কোন আদালতে দায়েল করা হয়েছে এবং কেন ? 

৩) উক্ত মামলা সমুহের বিষয়বস্তু বা Facts কি ? আইন অনুসারে কত দিনের মধ্যে দায়েল করতে হয় ? তামাদি সময়ের মধ্যে মামলা দায়েল হয়েছে কি না ? এই ধরনের মামলার প্রতিকার কি ?

৪।মামলা গুলো বর্তমানে যে Step এ আছে ,সেই Step এ আপনার করনীয় কি ?

কেস ডায়েরিতে উল্লেখিত মামলার এসব বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই ধারনা রাখতে হবে ।একটা বিষয় মনে রাখবেন, ভাইবা বোর্ডে কোন প্রশ্নের ভুল উত্তর দেওয়া যাবে না ।প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকে তবে বিনয়ের সাথে বলা উচিত , জানা নাই  কিংবা এখন মনে পড়তেছে না ।

 

কেস ডায়েরি লেখার নিয়ম :—

১) আপনার ইন্টিমেশনে দেওয়া কেস লিষ্ট ধরে ধারাবাহিক ভাবে ডায়েরি লিখতে হবে ।

২) ডায়েরির প্রথম পৃষ্টায় আপনার নাম,সিনিয়রের নাম,বার কাউন্সিল পরীক্ষার রোল নাম্বার,রেজিষ্টেশন নাম্বার লিখলে ভাল হয় ।এর পরের পৃষ্টায় মামলা গুলোর সূচি লিখতে হবে ।

৩) প্রতিটি পৃষ্টার নাম্বার দিতে হবে ।কারন স্যারেরা যাতে আপনার ডায়েরির মামলার সূচি দেখে সহজে মামলাটির বিস্তারিত দেখতে পারে ।

৪) আপনার লিষ্টের কেস সমুহের সাল যদি আপনার জুনিয়ারশীপ শুরু করার আগের হয় ,তবে কেস ডায়েরি লেখার সময় অবশ্যই এমন কিছু Step দেখাতে হবে যা আপনি জুনিয়ারশীপ করার সময়ে পেয়েছিলেন ।

৫) কেস ডায়েরি মাঝারি সাইজের এবং কাবার পেইজ কালো রং হলে ভাল হয় ।মনে রাখবেন, কম বা বেশী দামি ডায়েরির উপর কোন নাম্বার নাই ,তবে সুন্দর ও পরিপাটি হলে দেখতে ভাল লাগবে এবং ভাইবা বোর্ডের স্যারদের আপনার প্রতি একটি পজেটিব ধারনা তৈরী হবে ।

৬) যারা ২য় বারের মত ভাইবা দিবেন তাদের নতুন করে ডায়েরি লিখতে হবে না ,কিন্তু আগের টা নিয়ে যেতে হবে ।ডায়েরি লিখার সময়ে প্রতিটা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত করে লিখবেন ।

৭) ডায়েরি তারিখ ছাড়া নিলে ভাল হয় ।তবে তারিখ দেওয়া ডায়েরিতে কেস লেখা যাবে ,এতে কেন সমস্য নাই ।প্রতি কেস অল্প কথায় গুছিয়ে ৪ বা ৫ পৃষ্টার মধ্যে লিখতে পারেন ।

৮) আপনার বন্ধুর কেস লিষ্ট এবং আপনার কেস লিষ্ট যদি একেই হয় তবে দুই জনে কেস ডায়েরি হুবুহু লিখতে পারবেন ।তবে ইন্টিমেশন দেওয়ার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে ৩ বা ৪ জনের অধিকের কেস লিষ্ট যেন একেই না হয় ।যদি কাকতালিয় ভাবে হয়ে যায় তবে প্রত্যেককে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ডায়েরিতে কেসের বিবরন লিখতে হবে ।

৯) কেস ডায়েরিতে সিনিয়রের স্বাক্ষর লাগে না এবং যারা ব্যারিষ্টার তাদের কেস ডায়েরি লাগবে না ।

১০)) ভাইবা বোর্ডে অবশ্যই কেস ডায়েরি সাথে নিয়ে প্রবেশ করতে হবে এবং স্যারেরা চাইলে ডায়েরি তাদেরকে দিতে হবে ।

এভাবে আপনারা কেইস ডায়েরি প্রস্তুত করবেন ।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট
error: Content is protected !!