‘ঔষধ ও কসমেটিকস বিল ২০২৩’ বিলে ওষুধের কৃত্রিম সংকট ও বেশি মুনাফার লোভে মজুদ করলে ১৪ বছর জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে।
ডেস্ক নিউজ আদালত বার্তা :৬ এপ্রিল ২০২৩।
মানহীন ও নকল কসমেটিকস আটকাতে কঠোর হচ্ছে সরকার। কসমেটিকসের ব্যবসা করতে হলে ওষুধ প্রশাসন থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান ঔষধ আইনে কসমেটিকস শব্দটি যুক্ত করে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস বিল ২০২৩’ সংসদে তোলা হয়েছে। বিলে ওষুধের কৃত্রিম সংকট ও বেশি মুনাফার লোভে মজুদ করলে ১৪ বছর জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে ‘ওষুধ ও কসমেটিকস বিল ২০২৩’ নামে একটি বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিলটি উপস্থাপন করেন। পরে পরীক্ষা করে সংসদে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে এটি পাঠানো হয়।
এ বিলে কসমেটিকসের ব্যবসা ক্ষেত্রে ওষুধ প্রশাসন থেকে লাইসেন্স নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। এজন্য বিদ্যমান ওষুধ আইনে কসমেটিকস শব্দটি যুক্ত করে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস বিল’ নাম দেওয়া হয়েছে। সংসদে উপস্থাপিত এ বিলে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের তাদের দায়িত্ব ও কর্মপরিধি সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে- কসমেটিকস বিক্রি, আমদানি ও উৎপাদন করতে হলে লাইসেন্স নিতে হবে। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর লাইসেন্স অথোরিটি হিসেবে কাজ করবে। এখন যারা কসমেটিকসের ব্যবসা বা উৎপাদন করছেন তাদের লাইসেন্স নিতে হবে। এ জন্য ওষুধ প্রশাসন বিধি প্রণয়ন করবে।
১৯৪০ সালের ড্রাগস আইন এবং ১৯৮২ সালের দি ড্রাগস কন্ট্রোল অ্যাক্ট- এ দুটোকে এক করে এটিকে যুগোপযোগী করে এই বিল আনা হয়েছে। বিলে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত এ আইনে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে ওষুধের নিরাপত্তা, কার্যকারিতা, নতুন ওষুধ, ভ্যাকসিন মেডিকেল ডেভেলপ করার বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, Over the Counter ওষুধ ছাড়া রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ব্যতীত কোনো ওষুধ বিক্রয় ও ব্যবহার বন্ধ থাকবে এবং এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মেডিকেল ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত আইনে ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মেডিকেল ডিভাইসকে ওষুধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এছাড়া কিছু ওষুধের দাম সরকার নির্ধারণ করে দেবে বলে বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিলের তফসিলে ৩০ ধরনের অপরাধ চিহ্নিত করে সেগুলোর ক্ষেত্রে কী সাজা হবে তা উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অপরাধের ধরন অনুযায়ী সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা জরিমানা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে