1. multicare.net@gmail.com : আদালত বার্তা :
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বই পড়া এবং বই না পড়া মানুষের মধ্যে পার্থক্য মানুষের প্রতি আল্লাহর অসন্তুষ্টির ৫ কারণ একা ভ্রমণে ১০ ভুল এড়িয়ে চলুন ছাত্র-তরুণের নেতৃত্বে আসছে নতুন রাজনৈতিক দল, নাম ও প্রতীক প্রস্তাবের আমন্ত্রণ জীবনে কখনো কাউকে পরোয়া করো না, নিজের যোগ্যতায় নিজে এগিয়ে যাও। বদলে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা দুই সংজ্ঞা থেকেই বাদ যাচ্ছে শেখ মুজিবের নাম। সরাসরি যুদ্ধে অংশ না নিলে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি থাকবে না। পরোক্ষভাবে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁরা পাবেন সহযোগীর স্বীকৃতি। টাইম ম্যানেজমেন্ট অতি জরুরি বই মেলায়  আগত দর্শনার্থীদের একমাত্র ভরসা মেট্রোরেল আজও টিকে আছে পরিবারের যেসব ধরন ভিসা পরিষেবায় নতুন পদ্ধতি চালু করছে মার্কিন দূতাবাস

টাইম ম্যানেজমেন্ট অতি জরুরি

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

টাইম ম্যানেজমেন্ট অতি জরুরি
বিশেষ প্রতিবেদন,আদালত বার্তাঃ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। 
কথায় আছে, ‘সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ ফোঁড়। সময়মতো কোনো কাজ না করলে বা অবহেলা করে ঢিলেমি করলে যে ক্ষতি হয়, তা পরে অনেক চেষ্টা করেও পূরণ করা যায় না। প্রযুক্তির এই যুগে কথাটি আরো প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে এই কারণে যে- যেসব যন্ত্র বা ডিজিটাল মাধ্যম আমাদের জীবনযাত্রাকে সহজ করেছে, লম্বা সময়ের কাজকে স্বল্প সময়ে সমাধান করার ব্যবস্থা করেছে, সেসব যন্ত্র ব্যবহার করতে করতেই বেখেয়ালের বশে আমরা হারিয়ে ফেলছি আরো বেশি সময়—যা দরকারি অনেক কাজ থেকে আমাদের বিচ্যুত করছে। এতে লাভবান হওয়ার বদলে বরং ক্ষতিগ্রস্তই হচ্ছি এবং তা আমাদের ক্যারিয়ার গঠনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

gnewsদৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
কিছু উদাহরণ দিই। প্রথমটা হতে পারে আপনার মুঠোফোন। প্রয়োজনীয় কোনো তথ্য জানার জন্য গুগল সার্চ করার জন্য ফোনটা হাতে নিলেন। তথ্য না-হয় পেলেন, কিন্তু সার্চ রেজাল্টে আরো নানারকম লিংক আপনাকে আরো দশটি জিনিসের দিকে ‘ডাইভার্ট’ করল। আপনি সার্চ ইঞ্জিনে সাধারণত যা খোঁজেন, সে ধরনের সিমিলার অনেকগুলো রেজাল্ট একের পর এক সামনে এলো। একপর্যায়ে প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপনও চলে এলো।

The Great Bangladesh
এরপর কিছুক্ষণ ব্রাউজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে আপনি ঢুকে পড়লেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ব্যস, চোখের পলকে কখন সময় কেটে যাবে, বলতেই পারবেন না! এরপর ঘড়ির কাঁটায় চোখ গেলেই চোখ কপালে উঠবে! এই রে, বাকি কাজটা করব কখন! আরো সাধারণ কিছু উদাহরণ আছে। খাবার খাওয়ার সময় টেলিভিশনে কোনো একটা টিভি সিরিজ বা সিনেমা চালু করলেন, খেতে খেতে দেখবেন ভেবে। প্ৰথমে হয়তো ভেবেছিলেন সর্বোচ্চ আধঘণ্টা টিভির সামনে থাকবেন, এরপর অন্য কাজ করবেন। কিন্তু খাওয়ার সময় যখন সেই সিরিজে বুঁদ হয়ে যাবেন, তখন খাওয়া শেষেও টিভি বন্ধ করার কথা মনে থাকবে না। অনায়াসে আপনি ঘণ্টাদুয়েক সময় পার করে ফেলবেন। এরপর, আবারো কাজ নিয়ে অস্থিরতা!

আরো কিছু কিছু অভ্যাস আমাদের টাইম ম্যানেজমেন্টে বাধা হয়। যেমন রাতে অনেকক্ষণ আড্ডা দিয়ে সময় পার করলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় চ্যাট করলেন। সকাল ৯টায় হয়তো অফিসে মিটিং আছে, কিন্তু সময়মতো ঘুম থেকে উঠতে পারলেন না। এরপর তড়িঘড়ি করে উঠে দৌড়ে গিয়ে অফিসে বসের ঝাড়ি খেলেন, এরপর সারাদিনটাই মাটি।

সত্যি বলতে, এমন এক হাজারটা উদাহরণের অবতারণা করা যাবে। কারণ, একেকজনের ক্ষেত্রে এই সমস্যা একেকভাবে ঘটছে। তবে মোদ্দাকথা একই, টাইম ম্যানেজমেন্ট হচ্ছে না। অথচ ক্যারিয়ার গড়তে বা সফল হতে চাইলে সময়ের সর্বোচ্চ সুব্যবহার করা প্রয়োজন। কিন্তু যখন দিনের পর দিন সময় নষ্ট হতে থাকে, তখন হতাশা দেখা দেয়। এই হতাশা অনেককে বিষণ্নতার দিকে ঠেলে দেয়। এতে করে কর্মস্পৃহা হারিয়ে যায়। ভেবে দেখুন, এই সমস্যার সমাধান করা গেলে আপনার প্রোডাক্টিভিটি অনেক বেড়ে যাবে। আপনি সংসার বা বেসরকারি চাকরির ব্যস্ততার মাঝেও সরকারি চাকরির পরীক্ষার পাহাড়সম প্রস্তুতি নিতে পারবেন হেসে খেলে। কিংবা উদ্যোক্তা হতে চাইলেও একসঙ্গে অনেক কাজ সামলে নিতে পারবেন। দিনশেষে ফলাফলটাও ভালো হবে, যা আপনার উৎসাহ-উদ্দীপনা আরো বাড়িয়ে দেবে। সেই পথে হাঁটার কিছু উপায় বাতলে দিচ্ছি এই লেখায়।

চিহ্নিত করুন কী কী কারণে সময় নষ্ট করছেন

অতিরিক্ত প্রযুক্তি নির্ভরতা : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা।

অলসতা : কাজ শুরু করতে দেরি করা, বা আলসেমি করে শুয়ে-বসে থাকা।

পরিকল্পনার অভাব : আপনি কখন কোন কাজটি করবেন, এর জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকা।

অযথা অন্যদের সঙ্গে সময় ব্যয় : আড্ডা বা গল্প করা প্রয়োজন আছে। তবে সেটি পরিমিত পরিমাণে করছেন, নাকি দিনের বড় অংশ ব্যয় করে ফেলছেন?

সময়ের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার কৌশল নির্ধারণ করুন

পরিকল্পনা : প্রতিদিনের কাজের একটি তালিকা তৈরি করুন এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোকে অগ্রাধিকার দিন। প্রয়োজনে চার্ট করে আপনার পড়ার টেবিল বা ওয়ার্কস্টেশনের সামনে সেঁটে দিন।

লক্ষ্য নির্ধারণ : দীর্ঘমেয়াদি এবং স্বল্পমেয়াদি লক্ষ্য স্থির করুন। এতে লক্ষ্য পূরণের পথে এগিয়ে যাওয়া সহজ হবে। সেটিও চার্টের মাধ্যমেই করতে পারেন।

প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার : নলেজ এবং স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করুন। এআই ব্যবহার করেও বিভিন্ন কাজ করতে পারেন। তবে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে সময় নষ্ট করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ব্যাপারে জোর দিন।

নিয়মিত অভ্যাস : নিয়মিত পড়াশোনা ও ব্যায়াম করন এবং মনকে প্রফুল্ল রাখার মতো কিছু কাজ করুন। হতে পারে গান শোনা, গাছ লাগানো বা গাছের পরিচর্যা, ছবি আঁকা, লেখালেখি ইত্যাদি।

ডেডলাইন বা টাইমলাইন ফলো করা : যেকোনো কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। নিজেই নিজেকে সময় বেঁধে দিন।

দেশ-বিদেশে বিভিন্ন কাজে যারা সফল হয়েছেন, তাদের জীবনী, পরামর্শ বা উপদেশ বা উক্তি পড়তে পারেন। এর থেকে টাইম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপারে ধারণা পেতে পারেন। ইউটিউবেও এসব বিষয়ে অনেক কন্টেন্ট বা টিপস অ্যান্ড ট্রিকস আছে। কারো কারো আলোচনা, পডকাস্ট বা টেড টক শুনতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন, এর পেছনেও বেশি সময় নষ্ট করে ফেলবেন না! দিনশেষে আপনার ম্যানেজার আপনি নিজেই!

তথ্যঃইত্তেফাক/এএম সোর্স

সৈয়দ তাওসিফ মোনাওয়ার

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট