রাজধানীর কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া এলাকায় লতা সরকার (৩২) নামে বাকপ্রতিবন্ধী এক নারীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ করেছে পরিবার।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দগ্ধ অবস্থায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে। পরে মঙ্গলবার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে মারা যান তিনি।
নিহতের বোন পাখি সরকার বলেন, আমার বোন একজন বাকপ্রতিবন্ধী। সোমবার বাসার সামনে থেকে এক ব্যক্তি তাকে ফুসলিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় নিয়ে তাকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে রেখে যায়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। আমার বোনের হত্যার বিচার চাই।
শেখ হাসিনার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন জানান, দগ্ধ অবস্থায় এক নারীকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাত্রে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার শরীরের ৬৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহত লতা সরকার বাক প্রতিবন্ধী ছিল তাকে ধর্ষণের পরে পুড়িয়ে হত্যার করেছে বলে পরিবারের অভিযোগ পেয়েছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ্ জামান জানান, বাকপ্রতিবন্ধী এক নারীকে পুড়িয়ে হত্যার বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। তবে তিনি ধর্ষিত হয়েছে কিনা সেটি ডাক্তারের রিপোর্ট ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না। বিস্তারিত তদন্তের পর জানানো যাবে।