চাঁদ দেখা কমিটির সর্বশেষ খবর ২০২৪
নিউজ ডেস্ক আদালত : ০৮ এপ্রিল ২০২৪
মুসলমানদের বিভিন্ন ধর্মীয় উপলক্ষ ও উৎসব চাঁদের ওপর নির্ভরশীল। চাঁদ দেখা নিয়ে সাধারণ মানুষের বিভ্রান্তি দূর ও সঠিক তথ্য জানাতে গঠন করা হয়েছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। এটি পরিচালনার দায়িত্বে আছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগ। কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৭ জন।
আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি মাসের ২৯ তারিখ জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কমিটির সব সদস্যের অংশ নেওয়ার নিয়ম।
আজ বাংলাদেশের আকাশে ঈদের চাঁদ দেখা যায়নি। ঈদের চাঁদ দেখা যেতে পারে ৯ এপ্রিল, মঙ্গলবার, ২৯ রমজান বা ১০ এপ্রিল বুধবার ৩০ রমজানে।
আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র পূর্বাভাস দিয়েছে, এই বছর রোজা ৩০টি হতে পারে। এই অনুমান সত্য হলে সৌদি আরব ও আরব আমিরাতসহ ১১ মার্চ রমজান শুরু করা দেশগুলোতে ঈদুল ফিতর আগামী ১০ এপ্রিল বুধবার উদযাপিত হবে।
একইভাবে বাংলাদেশসহ যেসব দেশ গত ১২ মার্চ থেকে রমজান পালন শুরু করেছে, তারা রমজানের ২৯তম দিনের সঙ্গে মিল রেখে আগামী মঙ্গলবার, অর্থাৎ ৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় আকাশে নতুন চাঁদ খুঁজবে।
পবিত্র রমজান মাস হলো আরবি বর্ষপঞ্জিকার নবম মাস। আরবি মাসগুলো সাধারণত ২৯ ও ৩০ দিনের হয়ে থাকে। আর মাসগুলো নির্ধারিত হয় চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবান মাসের ২৯ তারিখ সন্ধ্যায় রমজানের চাঁদের অনুসন্ধান করতেন। এমনকি সাহাবায়ে কেরামকে চাঁদ দেখতে বলতেন।
হাদিসে এসেছে তালহা বিন উবাইদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, নবী কারিম (সা.) যখন নতুন চাঁদ দেখতেন তখন তিনি বলতেন,
اللَّهُمَّ أهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالأمْنِ وَالإيمانِ، وَالسَّلاَمَةِ وَالإسْلاَمِ، رَبِّي وَرَبُّكَ الله উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল-য়ুমনি ওয়াল ঈমান, ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।
অর্থ: হে আল্লাহ্! বরকত ও ঈমান দিয়ে এবং নিরাপত্তা ও ইসলাম দিয়ে আমাদের ওপর তাকে (চন্দ্রকে) উদিত করুন। আমার ও তোমার রব হচ্ছেন আল্লাহ। (তিরমিজি ৩৪৫১)
তবে শুধু এই দোয়াটি রমজানের চাঁদ দেখার সঙ্গে নির্দিষ্ট নয়। বরং প্রত্যেক মাসের শুরুতে যখনই কোনো মুসলিম নতুন চাঁদ দেখবে তখনই বলবেন।
এ দোয়া ছাড়াও আরও কয়েকটি দোয়া বর্ণিত আছে বিভিন্ন হাদিসে। আরেকটি দোয়া হলো-
উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার, আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমানি ওয়াসসালামাতি ওয়াল ইসলামি ওয়াত্তাওফিকি লিমা তুহিব্বু ওয়া তারদা রাব্বুনা ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।
অর্থ: আল্লাহ মহান, হে আল্লাহ! এ নতুন চাঁদকে আমাদের নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদয় করো। আর তুমি যা ভালোবাস এবং যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও, সেটাই আমাদের তৌফিক দাও। আল্লাহ তোমাদের এবং আমাদের প্রতিপালক। (তিরমিজি, মিশকাত)
সৌদিতে চাঁদ দেখা যাওয়া নিয়ে সারা বিশ্বের সব মুসলিমদের মধ্যে একটি আগ্রহ কাজ করে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাধারণ মানুষের মধ্যে ওইদিন থেকেই একটি আনন্দ লাগা শুরু করে।
কারণ সৌদিতে যদি চাঁদ উঠে যায় তাহলে তারা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যান, পর দিন তাদের দেশেও ঈদ হবে। যদিও গত বছর সৌদি আরবে ২৯ রমজান হয়েছিল।