1. multicare.net@gmail.com : আদালত বার্তা :
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন প্রয়োজন : জিএম কাদের - আদালত বার্তা
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জামিন হওয়ার পর এক ক্লিকেই আদেশ চলে যাবে কারাগারে: আইন উপদেষ্টা বিগত ১১৭ বছরের সব দলিল অনলাইনে যাচ্ছে, ভূমি মালিকদের করনীয়  এমপি-মন্ত্রীরা পালাননি, প্রমাণ ১২০ জনের গ্রেপ্তার উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে প্রচণ্ড গোলাগুলি; জনমনে আতঙ্ক মেট্রোরেল ১ ও ৫ উত্তর লাইনের কাজ দ্রুত শুরু করতে জাইকার আহ্বান মুঘল আমলে ঢাকার প্রবেশদ্বারে নির্মত দুর্গের ইতিহাস দেশের সব আদালতের অনলাইন কার্যতালিকা নিয়মিত হালনাগাদের নির্দেশ। মামলা চলাকালীন আপোষ-মীমাংসা করার আইনি প্রক্রিয়া ইসিকে পত্রিকা ও অনলাইন প্রতিনিধিরা গোপন নির্দেশনা নয়, নজরদারি ও সাইবার সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ  জীবনে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা কেউ করে দেয় না, নিজেকেই তৈরি করে নিতে হয়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন প্রয়োজন : জিএম কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২০
  • ৮৭৪ বার পড়া হয়েছে
সংগৃহীত ছবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) রজতজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘রিপোর্টার্স চ্যালেঞ্জ: রিয়েল নিউজ ভার্সেস ফেক নিউজ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জিএম কাদের বলেন, আমরা জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বিষয়ে সংসদে কথা বলেছিলাম। এ আইনের যে ধারাগুলো নিয়ে আপনাদের আপত্তি রয়েছে, সেগুলো বাতিলের দাবি করেছিলাম। কিন্তু আমাদের সংসদীয় পদ্ধতি এমন যে, সরকার যেটা চাইবে তার বাইরে সংসদের যাওয়ার কোনো উপায় নেই। আমি মনে করি, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন সংশোধনের প্রয়োজন আছে। আপনারা চাইলে আমরা আবারও বিষয়টি সংসদে তুলে ধরতে পারি।

সাংবাদিকরা সমাজের উন্নয়নে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করছেন। আমরা চাই সেই ভূমিকা সাংবাদিকরা ভবিষ্যতে আরও দক্ষতার সঙ্গে পালন করবেন। সাংবাদিকদের সেই ভূমিকা পালন করতে গিয়ে যে সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন আমরা রাজনীতিবিদরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ফেক আইডি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপব্যবহার করা হচ্ছে। আমি মনে করি, এসব বিষয়ে সরকারের ব্যবস্থা নেয়া উচিত। কেউ ফেক আইডি খুলে সামাজিক মাধ্যমে যেন কোনো ধরনের অপপ্রচার না চালাতে পারেন। দেশের বাইরে থেকেও অনেক সময় নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হয়। আমাদের দেশের মিডিয়াগুলোকে যদি সব ধরনের কথা বলার সুযোগ করে দেয়া হয়, তাহলে দেশের বাহির থেকে প্রচারিত অপপ্রচার খুব বেশি ফলপ্রসূ হবে না।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে আলোচনায় অংশ নেন দ্যা ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শফিউল আলম প্রধান, দৈনিক নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন।

মাহমুজ আনাম বলেন, বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এসব সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক সময় ফেক নিউজ প্রচারিত হয়। তাই আমাদের আরও বেশি নিষ্ঠাবান, নিজেদের দক্ষতার উন্নয়ন এবং আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত সত্য সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। তাহলে পাঠক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ফেক নিউজ থেকে মুলধারার গণমাধ্যমে ফিরে আসবে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন একাত্তর টিভির হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ।

আলোচনা করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, ডেইলি সান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, ডেইলি এশিয়ান এইজের কনসালটেন্ট এডিটর মোস্তফা কামাল মজুমদার, নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক জুলফিকার আলি মানিক প্রমুখ।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সাবেক সভাপতি এম শফিকুল করিম ও ডিআরইউর অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট