ওসি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের নামে চাঁদাবাজির মামলা
নিউজ ডেস্ক আদালত বার্তাঃ ১৭ মে, ২০২৪
যশোর জেলার অন্তর্গত কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কক্ষে আটকে রেখে চাঁদা দাবি ও ক্রসফায়ারের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তিনজনের নামে মামলা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন- কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির উদ্দিন, কেশবপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ ও আলতাপোল গ্রামের সেলিমুজ্জামান আসাদ।
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সালমান আহমেদ শুভ অভিযোগ আমলে নিয়ে বুধবার (১৫ মে) পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ফিরোজ হক বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। মামলার বাদী কেশবপুর মধ্যকুল গ্রামের নুর মোহাম্মদ সরদারের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম একজন ঘের ব্যবসায়ী। তিনি ২০২৪ সালের ২১ জানুয়ারি মধ্যকুল মৌজায় ২১৪ জন মালিকের কাছ থেকে ৪৫০ বিঘা জমি এক কোটি আশি লাখ টাকা চুক্তিতে পাঁচ বছরের জন্য লিজ নেন। সেখানে মাছ চাষ করে আসছেন।
ওই জমির গা ঘেঁষে মফিজুর রহমান মফিজ একশ’ কৃষকের কাছ থেকে তাদের জমি লিজ ঘের করার জন্য চুক্তি করেন। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মফিজ ও আসাদ বাদী জাহাঙ্গীরের লিজ নেওয়া জমি তাদের কাছে হস্তান্তরের জন্য হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন।
বিষয়টি নিয়ে বাদী কেশবপুর থানায় জিডি করতে গেলে থানা তা গ্রহণ করা হয়নি। সর্বশেষ গত পহেলা মে থানার পুলিশ কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম ও আবুল হোসেন জোরপূর্বক জাহাঙ্গীরকে বাড়ি থেকে থানায় ওসির রুমে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন তিন আসামি উপস্থিত রয়েছেন।
এ সময় ওসি জহির বাদীকে তার জমি অপর মফিজ ও আসাদকে হস্তান্তর করতে বলেন। ১৫ দিনের মধ্যে মফিজ ও আসাদকে জমি হস্তান্তর করতে হবে তা না হলে ওসি জহিরকে ত্রিশ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে।
মফিজ ও আসাদ রাজি না হলে বিলের মধ্যে নিয়ে গুলি করে হত্যা করবে ও ক্রসফায়ারের করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে ধাক্কা মেরে থানা থেকে বের করে দেওয়া হয়।
অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে কেশবপুর থানার ওসি জহির উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, মামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিষয়টি আমার জানা নেই।
কেশবপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ বলেন, ওই ঘটনার সময় আমি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। ওসির রুমে চাঁদা দাবি করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। যেহেতু আমি নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, তাই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আমাকে ফাঁসাচ্ছে। মামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন।