1. multicare.net@gmail.com : আদালত বার্তা :
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
সাকরাইন বা পৌষ সংক্রান্তি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী একটি উৎসব সংসদ হবে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট, মোট আসন ৫০৫ সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল দ্বিবেদী পাঁচ আগস্ট ‘সার্বক্ষণিক যোগাযোগে’ ছিলেন ভারত ও বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ডিএমপি কমিশনার থানায় জিডি করার এক ঘণ্টার মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত করতে হবে শক্তিশালী গণমাধ্যম গড়তে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন: কামাল আহমেদ দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক এমপি হেনরীকে অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে না: হাইকোর্ট ৫ কূটনৈতিক কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার, দেশে ফেরার নির্দেশ ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব সীমান্তে বেড়া নির্মাণে বাংলাদেশের সহযোগিতা আশা করে ভারত: প্রণয় ভার্মা আদিবাসী’ শব্দ বাতিলের দাবিতে এনসিটিবি ঘেরাও

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১৫৫ বার পড়া হয়েছে

বিবি মরিয়ম কামান

এডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক, আদালত বার্তাঃ ১ জানুয়ারি ২০২৩

১৭ শতকের গোড়ার দিকে মোগল বাদশাহ সম্রাট জাহাঙ্গীর ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপন করলে, এখানে গড়ে ওঠে নানা প্রশাসনিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। সে সঙ্গে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে থাকে জলদস্যুদের উপদ্রব।
ঢাকার চারপাশ ঘিরে কয়েকটি নদী থাকায়, জলদস্যুরা সে পথ দিয়েই আসতো। বিশেষত মগ, পর্তুগিজ ও আরাকানি জলদস্যুদের উপদ্রব বেড়ে গিয়েছিল অনেক। তাই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করতে ঢাকায় বেশ কিছু কামান তৈরি করা হয়। এর মধ্যে দুটি কামান ছিল সুবিখ্যাত। মোগল নির্মাণশৈলীতে, বিশালত্বে ও সৌন্দর্যে এগুলো ছিল বিশ্বমানের কামান।
কামান দুটির একটির নাম কালে খাঁ জমজম ও অপরটির নাম বিবি মরিয়ম। মীর জুমলা আসাম যুদ্ধে এই দুটি কামান ব্যবহার করেছিলেন। সম্রাট আওরঙ্গজেব ১৬৬০ সালে মীর জুমলাকে বাংলার সুবেদার নিয়োগ করেন। মীর জুমলা ১৬৬১ সালে আসাম অভিযানের সময় ৬৭৫টি ভারী কামান ব্যবহার করেন। যুদ্ধশেষে বিজয়ী হয়ে তিনি বিবি মরিয়মকে বড় কাটরার দক্ষিণে সোয়ারীঘাটে স্থাপন করেন। মীর জুমলার সময় বড় কাটরা ছিল ঢাকার বৈশিষ্ট্যময় একমাত্র জাঁকালো অট্টালিকা!
বিবি মরিয়মের দৈর্ঘ্য ১১ ফুট। মুখের ব্যাস ছয় ইঞ্চি। কামানে ব্যবহৃত গোলার ওজন পাঁচ থেকে ছয় মণ। অপরদিকে ‘কালে খাঁ জমজম’ এর দৈর্ঘ্য ২২ বা ৩৬ ফুটের মতো।অত্যন্ত শক্ত ও পেটানো লোহা দিয়ে কামানটি তৈরি করা হয়েছে বলে এত বছরেও মরিচা ধরেনি। সুতরাং দুটির মধ্যে তুলনামূলক কালে খাঁ জমজমই প্রকান্ড ছিল বেশি। তাই সকলের নজর কাড়তো বেশি।
বুড়িগঙ্গার মোগরাই চরে রাখা হয়েছিল কালে খাঁ জমজমকে। পরবর্তীতে নদীভাঙ্গনে বুড়িগঙ্গায় বিসর্জিত হয় কালে খাঁ জমজম।
ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট ওয়ালটার্স ১৮৪০ সালে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপর কামান বিবি মরিয়মকে কাদাপানি থেকে উদ্ধার করে চকবাজারের উত্তরে একটি বেদির ওপর স্থাপন করেন।এরপর চকবাজার ঘিঞ্জি এলাকায় পরিণত হলে ১৯২৫ সালে ঢাকার জাদুঘরের কিউরেটর নলিনীকান্ত ভট্টশালী কামানটিকে চকবাজার থেকে এনে সদরঘাটে স্থাপন করেন। তখন সদরঘাট ছিল ঢাকার সবচেয়ে মনোরম স্থান। এখানে এনে রাখার পর কামানটি আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।দেশভাগের পর কামানটিকে সদরঘাট থেকে এনে তৎকালীন জিন্নাহ এভিনিউয়ে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ) অবস্থিত গুলিস্তান সিনেমা হলের সামনে রাখা হয়।
তখন গুলিস্তান ছিল ঢাকার কেন্দ্রস্থল এবং সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান। এখানে এনে রাখার পর কামানটি ‘গুলিস্তানের কামান’ নামে পরিচিতি লাভ করে। তখন এই কামান দেখতে অনেকেই গুলিস্তান আসতো।
১৯৮৩ সালে এরশাদ সরকারের সময় এটাকে গুলিস্তানের মোড় থেকে উঠিয়ে এনে ওসমানী উদ্যানের প্রধান ফটকের পেছনে স্থাপন করা হয়।

১৮৫০ সালে নেয়া এক ছবিতে বিবি মরিয়মকে ঢাকার চকবাজার এলাকায়। পেছনে ঐতিহ্যবাহী চকবাজার জামে মসজিদ দেখা যাচ্ছে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট