ব্যাংক একীভূতকরণে ‘ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ-২০২৫’-এ কিছু নির্দিষ্ট বিধান কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে একটি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এই রুলের ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার আইনি ভিত্তি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল।
বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি এবং বিচারপতি এসকে তাসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ (০৪ সেপ্টেম্বর) একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে এই রুল জারি করেন।
ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের কয়েকজন সাধারণ শেয়ারহোল্ডারের পক্ষ থেকে এই রিট আবেদনটি করা হয়েছিল।
ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রিট আবেদনে ‘ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর ২৮(৬), ২৮(৭) এবং ১৬(এম) ধারাসহ ৩০, ৩১, ৩৩, ৩৪, ৩৬, ৪৮, ৪৯, ৫০ এবং ৫১ ধারাকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
রিটে বলা হয়েছে, অধ্যাদেশের এই বিধানগুলো সংবিধানের ২৭, ৩১, ৪০ এবং ৪২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, এবং তাই এর কোনো আইনি কার্যকারিতা নেই। এই রুলের জবাব দিতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষকে চার সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছে।