সম্পাদকীয়
জাপানের মানুষ সময়ানুবর্তিতার জন্য সারা বিশ্বে পরিচিত।
এডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক,, সম্পাদক, আদালত বার্তাঃ১৭ আগস্ট ২০২৫
জাপানের মানুষ সময়ানুবর্তিতার জন্য সারা বিশ্বে পরিচিত। জাপানীদের মতো তাদের রেল সময় মেনে চলে। এমনও বলা হয়, জাপানে ট্রেনের সময় দেখে মানুষ নিজেদের ঘড়ির সময় ঠিক করে নেয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেখানে ট্রেনের দেরি হওয়া একটি নিয়মিত ঘটনা, সেখানে জাপানে এক মিনিটের বেশি দেরি হওয়া প্রায় বিরল। কিন্তু কীভাবে জাপানের ট্রেনগুলো এত নিখুঁতভাবে সময় মেনে চলে?
জাপানের ঠিক সময় স্টেশনে পৌঁছানোর রেল ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল উনিশ শতকের শেষেরদিকে। যখন মেইজি পুনর্গঠনের মাধ্যমে জাপান আধুনিকীকরণ শুরু করে। মেইজি (Meiji) হলো জাপানের ইতিহাসের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যুগ, যা ১৮৬৮ সাল থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এটি মূলত সম্রাট মেইজি বা সম্রাট মুৎসুহিতো-এর ৪৫ বছরের শাসনকাল। মেইজি পুনর্গঠনের সময়কালে জাপান তাদের ঐতিহ্যবাহী ধূপঘড়ি (Incense clocks) এবং আকাশ দেখে দিন রাতের হিসাবের বদলে পশ্চিমা বিশ্বের যান্ত্রিক ঘড়ি এবং সময় পরিমাপের পদ্ধতি গ্রহণ করে।
ফলে জাপানি সমাজে সময়ানুবর্তিতা এবং শৃঙ্খলার ধারণা আগের থেকে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। একই সময়ে, উনিশ শতকের শেষ থেকে জাপানে রেলপথ নির্মাণ শুরু হয়। গত ১৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই রেল ব্যবস্থা একটি অত্যন্ত সুসংগঠিত এবং দক্ষ নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে সারা জাপানজুড়ে। দীর্ঘদিনের অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাই জাপানের এই অতুলনীয় রেল ব্যবস্থার শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছে।